মহাবিশ্ব

সাধারণ বিজ্ঞান - আধুনিক বিজ্ঞান - মহাবিশ্ব

মহাবিশ্ব ।[১][২][৩][৪]

পৃথিবী এবং অন্যান্য সমস্ত গ্রহ , সূর্য ও অন্যান্য তারা ও নক্ষত্র , জ্যোতির্বলয়স্থ স্থান ও এদের অন্তর্বর্তীস্থ গুপ্ত পদার্থ , ল্যামডা-সিডিএম নকশা , তমোশক্তি ও মহাশূণ্য (মহাকাশ) - যেগুলো এখনও তাত্ত্বিকভাবে অভিজ্ঞাত কিন্তু সরাসরি পর্যবেক্ষিত নয় - এমন সব পদার্থ ও শক্তি মিলে যে জগৎ তাকেই বলা হচ্ছে মহাবিশ্ব বা বিশ্ব-ভ্রম্মান্ড। আমাদের পর্যবেক্ষণ-লব্ধ মহাবিশ্বের ব্যাস প্রায় ৯৩ বিলিয়ন parsec (৩০০ বিলিয়ন light-year)[৫] । পুরো বিশ্বের আকার অজানা হলেও এর উপাদান ও সৃষ্টিধারা নিয়ে বেশ কয়েকটি hypotheses বিদ্যমান । [৬] মহাবিশ্বের উৎপত্তি সংক্রান্ত বিষয়কে বলে বিশ্বতত্ত্ব। দৃশ্যমান মহাবিশ্বের সুদূরতম প্রান্তের পর্যবেক্ষণ ও বিভিন্ন তাত্ত্বিক গবেষণায় মনে হয় মহাবিশ্বের প্রতিটি প্রক্রিয়াই তার সৃষ্টি থেকেই একই ধরনের প্রাকৃতিক নিয়ম ও কয়েকটি নির্দিষ্ট ধ্রুবক দ্বারা নির্ধারিত হয়। বিগ ব্যাং (Big Bang) তত্ত্ব অনুসারে এর আয়তন ক্রমবর্ধমান। সম্প্রতি আধুনিক পদার্থবিজ্ঞানীদের বিভিন্ন তত্ত্বে আমাদের এই দৃশ্যমান মহাবিশ্বের পাশাপাশি আরো অনেক মহাবিশ্ব থাকার অর্থাৎ অনন্ত মহাবিশ্ব থাকার সম্ভাবনার কথাও বলা হচ্ছে।

Content added By

জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy)

জ্যোতির্বিজ্ঞান বিজ্ঞানের এমন একটি শাখা যাতে মহাবিশ্বে অবস্থিত সকল বিচ্ছিন্ন এবং অবিচ্ছিন্ন বস্তসমূহের উৎপত্তি, বিবর্তন, গঠন, দূরত্ব এবং গতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। অর্থাৎ জ্যোতির্বিজ্ঞান মাহাবিশ্বে ভ্রাম্যমাণ জ্যোতিষ্ক বিষয়ক বিজ্ঞান। জ্যোতিষ্কসমূহের ইংরেজি নাম Heavenly bodies বা Astronomical bodies বা স্বর্গীয় বস্তু। প্রাচীনকালে মানুষেরা আকাশকেই স্বর্গ মনে করতো, তাই আকাশে বিদ্যমান সববস্তুকে স্বর্গীয় বস্তু বলতো। জ্যোতির্বিজ্ঞান আর জ্যোতিষশাস্ত্র এক নয়। জ্যোতির্বিজ্ঞান বিশেষজ্ঞদের বলা হয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী (Astronomer) আর জ্যোতিষশাস্ত্রবিশারদকে বলে জ্যোতিষী (Astrologer) বলে।

Content added By

বিশ্বতত্ত্ব বা ভৌত সৃষ্টিতত্ত্ব হল জ্যোতিঃপদার্থবিদ্যার একটি শাখা, যা দিয়ে মূলত মহাবিশ্বের বৃহদাকার কাঠামো, এর গঠন এবং বিবর্তন সম্পর্কিত মৌলিক প্রশ্নের অধ্যয়ন করা হয়। আধুনিক ভৌত সৃষ্টিতত্ত্বের শুরু হয় বিংশ শতাব্দীতে, মূলত আলবার্ট আইনস্টাইনের সাধারণ আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্ব এবং দূরবর্তী মহাজাগতিক বস্তুসমূহের উন্নততর ভৌত পর্যবেক্ষণের ব্যাপক উন্নতিসাধনের সঙ্গে।

Content added By

জ্যোতিষ্কমণ্ডলী (Luminaries)

বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের যাবতীয় বস্তুর শক্তি যে অঞ্চলে ভাসমান অবস্থায় বিন্যস্ত তার নাম মহাকাশ। মহাশূন্যে অবস্থিত বস্তুসমূহকে জ্যোতিষ্ক বলা হয়ে থাকে। জ্যোতিষ্ক ৭ প্রকার। যথা- নক্ষত্র, নীহারিকা, গ্রহ, উপগ্রহ, ছায়াপথ, ধূমকেতু এবং উল্কা।

Content added By

ছায়াপথ 

ছায়াপথ হল তারা, নাক্ষত্রিক অবশেষ, আন্তঃনাক্ষত্রিক গ্যাস, ধূলিকণা ও তমোপদার্থ নিয়ে গঠিত মহাকর্ষীয় টানে আবদ্ধ একটি জগৎ।[১][২] ‘ছায়াপথ’ শব্দটির ইংরেজি ‘galaxy’ প্রতিশব্দটির উৎস গ্রিক galaxias (γαλαξίας) শব্দটি, যার আক্ষরিক অর্থ, ‘দুধালো’ (এটি আকাশগঙ্গা অর্থে ব্যবহৃত হত)। আকারগত দিক থেকে ছায়াপথগুলি বামনাকৃতি (কয়েকশো মিলিয়ন বা ১০৮ তারা নিয়ে গঠিত) থেকে দানবাকৃতি (একশো ট্রিলিয়ন বা ১০১৪ তারা নিয়ে গঠিত) পর্যন্ত হতে পারে[৩] প্রতিটি ছায়াপথই তার ভরকেন্দ্রটির চারিদিকে আবর্তনশীল।

Content added By

সৌরজগতের গ্রহ

সূর্যের ৮টি গ্রহ আছে। সূর্য হতে দূরত্ব অনুযায়ী গ্রহগুলো যেভাবে সাজানো রয়েছে সেগুলো নিচে বর্ণনা করা হল। যথা- বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুন। ২০০৬ সালের ২৪ আগস্ট প্লটো মর্যাদা হারায়। প্লটোকে বর্তমানে ‘বামন গ্রহ’ (dwarf planet) এর মর্যাদা দেওয়া হয়। বর্তমানে সৌরজগতের পাঁচটি বামন গ্রহ আছে। যথা- সেরেস, প্লুটো, হাউমিয়া, মেকমেক এবং এরিস। পৃথিবী ছাড়া সৌরজগতের অন্যান্য সকল গ্রহ, এবং, উপগ্রহের নাম গ্রিক যা রোমনি দেবতার নাম হতে নেওয়া হয়েছে।

বুধ: বুধ সৌরজগতের ক্ষুদ্রতম এবং দ্রুততম গ্রহ। এটি সবচেয়ে কম সময়ে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। সূর্যকে এর প্রদক্ষিণ করে আসতে বুধের সময় লাগে ৮৮ দিন।

 

শুক্র: সৌরজগতের উষ্ণতম গ্রহ শুক্র। শুক্রগ্রহে কার্বন-ডাই অক্সাইডের ঘন বায়ুমণ্ডল থাকায় তা তাপ ধরে রাখে পক্ষান্তরে বুধ গ্রহে কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এজন্য বুধ অপেক্ষা সূর্য হতে দূরবতী হওয়া সত্ত্বেও শুক্র গ্রহের তাপমাত্রা অধিক। শুকতারা ও সন্ধ্যাতারার কথা আমরা শুনেছি। শুকতারা বা সন্ধ্যা তারা আসলে কোনো তারা নয়। শুক্রগ্রহ ভোরের আকাশ শুকতারা এবং সন্ধ্যার আকাশে সন্ধ্যা তারা নাামে পরিচিত। নক্ষত্রের মতে জ্বলজ্বল করে বলেই আমরা একে ভুল করে তারা বলি। পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ শুক্র। একে পৃথিবীর ‘জমজ গ্রহ’ বলা হয়।পৃথিবী: পৃথিবী একটি অভিগত গোলক। অভিগত গোলক অর্থ উত্তর দক্ষিণে সামান্য চাপা এবং পূর্ব-পশ্চিমে সামান্য স্ফীত। আহ্নিক গতির জন্য পৃথিবীর আকৃতি এরূপ হয়েছে। পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্র সূর্য। সূর্যের চারিদিকে একবার ঘুরে আসতে পৃথিবীর সময় লাগে ৩৬৫ দিন ৫ টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্দ্র। পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব ৯৩ মিলিয়ন মাইল বা ১৫ কোটি কি.মি.। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো আসতে সময় লাগে ৮.৩২ মিনিট বা ৮ মিনিট ১৯ সেকেন্ড বা ৫০০ সে.।

 

মঙ্গল: মঙ্গল গ্রহের মাটিতে প্রচুর পরিমাণে লাল আয়রন অক্সাইড (যাকে মরিচা বলা হয়) বিদ্যমান। পৃথিবী থেকে এই গ্রহটি দেখতে লালচে দেখায়। এজন্য মঙ্গলকে অনেক সময় ‘লাল গ্রহ’ বলেও অভিহিত করা হয়। গ্রহের বায়ুমণ্ডলের প্রধান উপাদান কার্বন ডাই-অক্সাইড (৯৫.৯৭%)। গ্রহটি সূর্যকে ৬৮৭ দিনে আবর্তন করে।

 

বৃহস্পতি: সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ। সবচেয়ে বড় গ্রহ বলে একে ‘গ্রহরাজ’’ বলা হয়। আয়তনে বৃহস্পতি পৃথিবীর চেয়ে ১,৩০০ গুণ বড়।

 

শনি: সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। এটি গ্যাসের তৈরি বিশাল এক গোলক। শনিকে ঘিরে আছে হাজার হাজার বলয়।

 

ইউরেনাস: ইউরেনাস সৌরজগতের তৃতীয় বৃহত্তম গ্রহ। একে ‘সবুজ গ্রহ’ও কম হয়।

 

নেপচুন: সৌরজগতের গ্রহসমূহের মধ্যে সূর্যকে প্রদিক্ষণ করতে নেপচুনের সবচেয়ে বেশি সময় লাগে।

 

Content added By

গাড়ির মধ্যেই বসে থাকবেন

কোনো গাছের তলায় আশ্রয় নিবেন

বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন

বাইরে এসে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন

Content added By
রেডিও ট্রান্সমিটার সহযোগে দূর থেকে তথ্য সংগ্রহ
রাডারের সাহায্যে চারদিকের পরিবেশের অবলোকন
কোয়াসার প্রভূতি মহাজাতিক উৎস থেকে সংকেত অনুধাবন
উপগ্রহের সাহায্যে দূর থেকে ভূমণ্ডলের অবলোকন

গাড়ির মধ্যেই বসে থাকবেন

কোনো গাছের তলায় আশ্রয় নিবেন

বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন

বাইরে এসে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন

ধুমকেতু

ধুমকেতু হল ধুলো, বরফ ও গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্তু। ধূমকেতু একটি ক্ষুদ্র বরফাবৃত সৌরজাগতিক বস্তু যা সূর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় কমা (একটি পাতলা, ক্ষণস্থায়ী বায়ুমন্ডল) এবং কখনও লেজও প্রদর্শন করে । ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের ওপর সূর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবের কারণে এমনটি ঘটে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বরফ, ধুলা ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কণিকার একটি দুর্বল সংকলনে গঠিত। প্রস্থে কয়েকশ মিটার থেকে দশ কি.মি. এবং লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশ কোটি কি.মি. পর্যন্ত হতে পারে । মানুষ সুপ্রাচীন কাল থেকে ধূমকেতু পর্যবেক্ষণ করছে।

একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েকশ’ হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে। ধারণা করা হয় স্বল্পকালীন ধূমকেতুর উৎপত্তি কুইপার বেল্ট থেকে যার অবস্থান নেপচুনের কক্ষপথের বাইরে এবং দীর্ঘকালীন ধূমকেতুর উৎপত্তি ওরট মেঘ থেকে, যা সৌরজগতের বাইরে একটি বরফময় বস্তুর গোলাকার মেঘ।[১] আমাদের সৌরজগতের বড় গ্রহগুলোর ( বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস ও নেপচুন) অথবা সৌরজগতের খুব কাছ দিয়ে পরিক্রমণকারী নক্ষত্রের কারণে ওরট মেঘে যে মাধ্যাকর্ষণ বল ক্রিয়া করে তাতে বস্তুগুলো সূর্যের দিকে ছুটে আসে এবং তখনি কমার উৎপত্তি হলে আমরা ধূমকেতু দেখি। বিরল কিছু ধূমকেতু অধিবৃত্তাকার কক্ষপথে সৌরজগতের ভেতরে প্রবেশ করে এসব গ্রহের মাধ্যমে আন্তনাক্ষত্রিক স্থানে নিক্ষিপ্ত হতে পারে।

ধুমকেতু উল্কা বা গ্রহাণু থেকে পৃথক কারণ এর কমা ও লেজের উপস্থিতি। কিছু বিরল ধূমকেতু সূর্যের খুব নিকট দিয়ে বারবার পরিভ্রমণ করার কারণে উদ্বায়ী বরফ ও ধুলা হারিয়ে ছোট গ্রহাণুর মত বস্তুতে পরিণত হয়।

এপ্রিল ২০১৯ এর পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ৬৬১৯ টি ধূমকেতু [২] আমাদের জানা । এ সংখ্যা ক্রমবর্ধমান কারণ মোট ধূমকেতুর (যা ধারণা করা হয় শত কোটি) একটি নগণ্য অংশ।[৩][৪] খালি চোখে দেখা যাওয়া উজ্জ্বল ধূমকেতুকে বৃহৎ ধূমকেতু বলা হয়।[৫]

কিছু ধুমকেতু নির্দিষ্ট সময় পরপর একই স্থানে ফিরে আসে। যেমন হ্যালীর ধুমকেতু।

Content added By
Please, contribute to add content into উল্কা.
Content

মহাজগতিক রশ্মি ইংরেজি Cosmic rays বাইরে থেকে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন যে আহিত কণাসমূহ প্রবেশ করে তাদেরকে সমষ্টিগতভাবে মহাজাগতিক রশ্মি বলা হয়।[১] মহাজাগতিক রশ্মি হল উচ্চ-শক্তির প্রোটন এবং পারমাণবিক নিউক্লিয়াস যা প্রায় আলোর গতিতে মহাকাশের মধ্য দিয়ে চলে। তারা সূর্য থেকে, আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সিতে সৌরজগতের বাইরে থেকে, এবং দূরবর্তী ছায়াপথ থেকে উদ্ভূত হয়।[২][৩] পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের সাথে প্রভাবে, মহাজাগতিক রশ্মি গৌণ কণার ঝরনা তৈরি করে, যার মধ্যে কিছু পৃষ্ঠে পৌঁছায়; যদিও স্তূপটি ম্যাগনেটোস্ফিয়ার বা হেলিওস্ফিয়ার দ্বারা মহাকাশে বিচ্যুত হয়।

মহাজাগতিক রশ্মি ১৯১২ সালে ভিক্টর হেস বেলুন পরীক্ষায় আবিষ্কার করেছিলেন, যার জন্য তিনি ১৯৩৬ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার পান।

মহাজাগতিক রশ্মির সরাসরি পরিমাপ, বিশেষ করে নিম্ন শক্তিতে, ১৯৫০ এর দশকের শেষের দিকে প্রথম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের পর থেকে সম্ভব হয়েছে। পারমাণবিক এবং উচ্চ-শক্তি পদার্থবিদ্যায় ব্যবহৃত অনুরূপ কণা ডিটেক্টরগুলি মহাজাগতিক রশ্মির গবেষণার জন্য উপগ্রহ এবং মহাকাশ অনুসন্ধানে ব্যবহৃত হয়।[৪] ফার্মি স্পেস টেলিস্কোপ (২০১৩)[৫] থেকে পাওয়া তথ্য প্রমাণ হিসাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যে প্রাথমিক মহাজাগতিক রশ্মির একটি উল্লেখযোগ্য ভগ্নাংশ নক্ষত্রের সুপারনোভা বিস্ফোরণ থেকে উদ্ভূত হয়।[৬] ২০১৮ সালে ব্লাজার TXS 0506+056 থেকে নিউট্রিনো এবং গামা রশ্মির পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে, সক্রিয় গ্যালাকটিক নিউক্লিয়াসও মহাজাগতিক রশ্মি তৈরি করতে দেখা যায়।

Content added By

সৌরজগৎ

সৌরজগৎ হল সূর্য ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে[ক] সূর্য-প্রদক্ষিণকারী তথা পরস্পরের প্রতি অভিকর্ষজ টানে আবদ্ধ মহাজাগতিক বস্তুগুলিকে নিয়ে গড়ে একটি ব্যবস্থা। আকাশগঙ্গা ছায়াপথের কেন্দ্রস্থল থেকে ২৬,০০০ আলোকবর্ষ দূরে কালপুরুষ বাহুতে এই গ্রহ ব্যবস্থাটি অবস্থিত। সৌরজগতে প্রত্যক্ষভাবে সূর্য-প্রদক্ষিণকারী বস্তুগুলির মধ্যে আটটি গ্রহই বৃহত্তম।[খ] অন্য ক্ষুদ্রতর বস্তুগুলির মধ্যে রয়েছে বামন গ্রহ ও সৌরজগতের ক্ষুদ্র বস্তুসমূহ। পরোক্ষভাবে সূর্য-প্রদক্ষিণকারী বস্তুগুলির মধ্যে দু’টি প্রাকৃতিক উপগ্রহ ক্ষুদ্রতম গ্রহ বুধের থেকেও আকারে বড়ো।[

Content added By
মঙ্গল গ্রহের একটি উপগ্রহ
বৃহস্পতি গ্রহের একটি উপগ্রহ
শনি গ্রহের একটি উপগ্রহ
পৃথিবী থেকে পাঠানো বৃহস্পতির একটি কৃত্রিম উপগ্রহ

সূর্যগ্রহণ

চাঁদ যখন পরিভ্রমণরত অবস্থায় কিছু সময়ের জন্য পৃথিবী ও সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখন পৃথিবীর কোন দর্শকের কাছে সূর্য আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায় (কিছু সময়ের জন্য)। এই ঘটনাকে সূর্যগ্রহণ বলা হয়। অমাবস্যার পরে নতুন চাঁদ উঠার সময় এ ঘটনা ঘটে। পৃথিবীতে প্রতি বছর অন্তত দুই থেকে পাচঁটি সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়। এর মধ্যে শূন্য থেকে দুইটি সূর্যগ্রহণ পূর্ণ সূর্যগ্রহণ হয়

২৬ ডিসেম্বর ২০১৯ শেষ সূর্যগ্রহণ হয়। এইদিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই শহরে পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ হয় এবং রিং অফ ফায়ার তৈরি হয়। আরব ভূখণ্ড থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া পর্যন্ত সূর্যগ্রহণ পরিলক্ষিত হয়

Content added By

গাড়ির মধ্যেই বসে থাকবেন

কোনো গাছের তলায় আশ্রয় নিবেন

বাইরে এসে মাটিতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়বেন

বাইরে এসে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে থাকবেন

চন্দ্রগ্রহণ

আমরা সবাই জানি, চাঁদ যেমন পৃথিবীকে কেন্দ্র করে ঘুরছে তেমন পৃথিবীও সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘুরছে। এইভাবে একটা সময় চাঁদ, সূর্য, পৃথিবী ঘুরতে ঘুরতে এক সরলরেখায় আসে।যখন এই সরলরেখায় পৃথিবী, চাঁদ ও সূর্যের মধ্যে আসে, তখন পৃথিবীর ছায়ার জন্য চাঁদে সূর্যের আলো পৌঁছায় না, ফলে চাঁদকে তখন কিছু সময়ের জন্য দেখা যায় না। অর্থাৎ পৃথিবী পৃষ্ঠের কোন দর্শকের কাছে চাঁদ আংশিক বা সম্পূর্ণরূপে কিছু সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায়। তখন একে সংক্ষেপে চন্দ্রগ্রহণ বলে।[১]

এই সময় পৃথিবী, সূর্যকে আংশিক ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে আংশিক দেখা যায় না একে আংশিক চন্দ্রগ্রহণ বলে। আর পৃথিবী সূর্যকে পুরোপুরি ঢেকে নিলে পৃথিবীর জন্য চাঁদকে পুরোপুরি দেখা যায় না একে পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ বলে। চাঁদের তুলনায় পৃথিবীর ব্যাস অনেক বেশি হওয়ায়, পৃথিবীর ঐ ব্যাসের পথ অতিক্রম করতে চাঁদের অনেকটা সময় লাগে। এই জন্য সূর্যগ্রহনের স্থায়ীত্ত্ব কয়েক মিনিট হলেও চন্দ্রগ্রহণের স্থায়ীত্ত্ব ২ থেকে ৩ ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।

Content added By
পৃথিবী , সূর্য ও চন্দ্রের মাঝে অবস্থান করে
চন্দ্র, সূর্য ও পৃথিবীর মাঝে অবস্থান করে
সূর্য , চন্দ্র ও পৃথিবীর মাঝে অবস্থান করে
পৃথিবী ও চন্দ্র সােজাসুজি অবস্থান করে

কৃত্রিম উপগ্রহ ও এর ইতিহাস

কৃত্রিম উপগ্রহের মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস

স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহের আবিষ্কার ও মহাকাশ যাত্রার ইতিহাস খুব একটা পুরোনো নয়। ষাটের দশকে প্রথমবারের মতো এ গৌরব অর্জন করে তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন। পরের বছর যুক্তরাষ্ট্রও মহাকাশের উদ্দেশ্যে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সক্ষম হয়। এরপর একে একে ফ্রান্স, জাপান, চীন ও ভারতসহ ৫৬টি দেশ মহাকাশ জয় করে১৯৫৭ সালের চৌঠা অক্টোবর। ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে স্যাটেলাইট স্পুটনিক- ১। রাশিয়ার তৈরি এ কৃত্রিম উপগ্রহের মহাকাশ জয়ের মধ্যদিয়ে রচিত হয় আধুনিক বিজ্ঞানের নতুন এক অধ্যায়। একই বছরের দোসরা নভেম্বর স্পুটনিক-২ নামের আরো একটি কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠায় রাশিয়া।

পরের বছর এক্সপ্লোরার-১ নামের একটি কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মধ্যদিয়ে মহাকাশ জয়ের দ্বিতীয় দেশের গৌরব অর্জন করে যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পর ১৯৬৫ সালে মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে সক্ষম হয় ফ্রান্স। ১৯৭০ সালে একই গৌরব অর্জন করে জাপান।

ওই বছরেই ডং ফ্যাং হং-১ নামের কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে পাঠায় চীন। পরের বছর ব্ল্যাক অ্যারো রকেটে প্রোসপেরো এক্স-৩ নামের স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ব্রিটেন। এছাড়া, ১৯৮০ সালে রোহিনী নামের কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে মহাকাশ যাত্রা শুরু করে প্রতিবেশী দেশ ভারত। বাংলাদেশের আগে সবশেষ এ তালিকায় যুক্ত হয় কোস্টারিকার নাম।

উইকিপিডিয়ার হিসেবে বলছে, ২০১৩ সাল পর্যন্ত ৫০টিরো বেশি দেশ থেকে কয়েক হাজার স্যাটেলাইট মহাকাশে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। তবে পৃথিবীর মাত্র ১০টি দেশ নিজস্ব প্রযুক্তি ও উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠাতে সক্ষম।

এর মধ্যে রয়েছে রাশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জাপান, চীন, যুক্তরাজ্য, ভারত, ইসরাইল, ইউক্রেন এবং ইরান। বর্তমানে মহাকাশে সচল রয়েছে ১০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট। এর ৫০ ভাগই উৎক্ষেপণ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে রাশিয়ার একটি স্যাটেলাইটের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

দক্ষিণ এশিয়ায় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের তালিকায় শীর্ষে ভারত। গেল বছর একদিনে ১০৪টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে ইতিহাস গড়ে দেশটি। এর আগে ২০১৪ সালে রাশিয়া এক সঙ্গে ৩৭টি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করেছিল। এছাড়া, গেল বছর ৫ মে ''দক্ষিণ এশিয়া কৃত্রিম উপগ্রহ'' নামে একটি যৌথ প্রকল্পও শুরু করে ভারত।

যার অংশীদার, পাকিস্তান বাদে সার্কের বাকি সদস্য দেশগুলো। পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা এবং আফগানিস্তানের নিজস্ব স্যাটেলাইট থাকলেও এখনও অনেক পিছিয়ে নেপাল, ভুটান, মালদ্বীপ এবং মিয়ানমার। বঙ্গবন্ধু-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় উন্নত প্রযুক্তির স্যাটেলাইটের মালিকানায় এখন বাংলাদেশ।

আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ, তথ্যের আদান-প্রদান, সম্প্রচার, বিমান ও সমুদ্রগামী জাহাজের দিক নির্দেশনা এবং সামরিক কাজ তথা পরমাণু অস্ত্রের পর্যবেক্ষণ, রাডার নিয়ন্ত্রণ এবং শত্রুর গতিবিধি পর্যবেক্ষণে স্যাটেলাইটের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে।

Content added By

মহাশূন্যে পর্যটন

মহাশূন্যে ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে হয়তো অনেকের আছে৷ কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন অনেক টাকার৷ তবে এ ধরণের আগ্রহী পর্যটকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ ফলে মহাশূন্য ভ্রমণ, বাণিজ্যিকভাবে একটি লাভবান খাত হয়ে উঠছে৷

সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিলোমিটার উপর ওঠা৷ সেখান থেকে পৃথিবী দর্শন৷ সঙ্গে, অসাধারণ কিছু অভিজ্ঞতা৷ পর্যটকদের এই ইচ্ছা পূরণের জন্য কয়েকটি কোম্পানি বাহন তৈরির কাজ করছে৷ এর মধ্যে একটি ভার্জিন গ্যালাকটিক৷ ব্রিটিশ বিলিওনেয়ার রিচার্ড ব্র্যানসন’এর ভার্জিন গ্রুপের একটি কোম্পানি এটি৷ তারা ‘স্পেসশিপটু' নামের একটি যান তৈরি করছে৷ এ বছরের মধ্যেই সেটা পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করবে বলে আশা করা হচ্ছে৷ এরপর আগামী বছর থেকে পর্যটকদের মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে ভার্জিন গ্যালাকটিক৷ মহাশূন্যে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে প্রায় ৫০০ জন আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছে কোম্পানিটি৷ একেক জন পর্যটককে এজন্য খরচ করতে হবে দুই লক্ষ ডলার৷ বাংলাদেশি টাকায় যেটা প্রায় এক কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা৷ স্পেসশিপটু চালাবেন দুজন পাইলট৷ আর তাতে একসঙ্গে ছয়জন পর্যটককে মহাশূন্যে নিয়ে যাওয়া যাবে৷

ভার্জিন গ্যালাকটিক ছাড়াও জেকোর অ্যারোস্পেস নামের আরেকটি কোম্পানি ‘লিঙ্ক্স' নামের একটি দুই আসনের রকেট বানানোর জন্য অর্থ জোগাড় করে ফেলেছে৷ এই রকেটে করে অবশ্য অনেক কম টাকায় মহাশূন্য যাওয়া যাবে৷ বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা৷

ভার্জিন গ্যালাকটিকের দেয়া তথ্য থেকে বোঝা যাচ্ছে মহাশূন্যে শুধু ঘুরতে যাওয়ার মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ আগে যেখানে শুধু বিজ্ঞানীরা যেতেন এখন সেখানে সাধারণ মানুষও যেতে চাইছেন৷ বিজ্ঞানীদের বাইরে এখন পর্যন্ত সাতজন পর্যটকের কথা আমরা জানি যারা নিজের টাকা খরচ করে শুধু ঘুরতেই মহাকাশে গেছেন৷ এর মধ্যে একজন আবার দুইবার এই অভিজ্ঞতা নিয়েছেন৷

মহাশূন্যের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা নিয়ে জরিপ করছে টাউরি গ্রুপ৷ এর এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা কারিসা ক্রিসটেনসেন বলছেন, এখন পর্যন্ত যে ধরণের তথ্য এসেছে তা বেশ উৎসাহব্যাঞ্জক৷ জরিপ প্রতিবেদনটি মে মাসে প্রকাশ করা হবে বলে জানা গেছে৷

রাশিয়ার মির স্টেশন যখন বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল তখনই অনেকে সেখানে যেতে চেয়েছিলেন৷ এছাড়া এই সুযোগকে বিভিন্নভাবে কাজে লাগানোরও পরিকল্পনা করা হয়েছিল৷ যেমন টেলিভিশনে একটি রিয়েলিটি শো'র প্রযোজক মার্ক বার্নেট চেয়েছিলেন, তাঁর প্রতিযোগিতার বিজয়ীকে মির স্টেশনে পাঠাতে৷ এদিকে ভার্জিন গ্যালাকটিক বলছে তারা ‘সেক্স ইন স্পেস' নামের একটি ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছে৷মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা তাদের গবেষণার জন্য সাবঅর্বিটাল ফ্লাইট পরিচালনা করতে সাতটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করেছে - যার পরিমাণ প্রায় ১০ মিলিয়ন ডলার৷ এর মধ্যে একটি কোম্পানি হচ্ছে আর্মাডিলো অ্যারোস্পেস৷ নাসার এই সিদ্ধান্ত মহাকাশ নিয়ে বাণিজ্য শুরুর যে সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে তাকে এগিয়ে নেবে বলে মনে করেন আর্মাডিলোর এক কর্মকর্তা৷

তবে মহাশূন্যকে ঘিরে নতুন এই সম্ভাবনার ব্যাপারে সবাই একমত নন৷ যেমন জন পাইক৷ ওয়াশিংটন ভিত্তিক ‘গ্লোবালসিকিউরিটি ডট অর্গ' এর পরিচালক তিনি৷ একসময় মহাশূন্যের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী ছিলেন তিনি৷ কিন্তু এখন বলছেন, মহাকাশ ব্যবসা হচ্ছে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসা৷ কেননা গত পঞ্চাশ বছরে এ খাতে উল্লেখযোগ্য কোনো উন্নতি হয়নি৷ তবে সাবেক নাসা কর্মকর্তা ও এখন দু'দুটি মহাকাশভিত্তিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী অ্যালান স্টার্ন বলছেন, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে মহাশূন্যে পর্যটন বিষয়টি দাঁড়িয়ে যেতে পারবে৷ তিনি বলছেন এখনো মহাকাশে যাতায়াত বিষয়টি অনেক খরচের ব্যাপার৷ তাই অনেক দেশ চাইলেও এ নিয়ে গবেষণা করতে পারছে না৷ তবে ধীরে ধীরে এই খরচ কমে আসছে৷ কেননা বিভিন্ন কোম্পানির মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়ছে৷ এর ফলে এখন থেকে অন্যান্য দেশও মহাকাশ নিয়ে গবেষণা করতে এবং সেখানে বিজ্ঞানী পাঠাতে আগ্রহী হয়ে উঠবে বলে মনে করেন স্টার্ন

Content added By

মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 

আর্জেন্টিনা

 

 

সম্পাদনা

Comisión Nacional de Actividades Espaciales

অস্ট্রেলিয়া

কমনওয়েল্‌থ সাইন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ অরগানাইজেশন

 

অস্ট্রিয়া

অস্ট্রিয়ান স্পেন এজেন্সি

 

বাংলাদেশ

মহাকাশ গবেষণা এবং দূর অনুধাবন কেন্দ্র

 

ভারত

ইসরো

 

দক্ষিণ কোরিয়া

কোরিয়া অ্যারোস্পেস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (কারি)

 

যুক্তরাজ্য

ব্রিটিশ ন্যাশনাল স্পেস সেন্টার

 

যুক্তরাষ্ট্র

ন্যাশনাল অ্যারোনটিক্‌স অ্যান্ড স্পেস অরগানাইজেশন

রাশিয়া

রসকসমস

Content added By
Promotion